Oporadhi - অপরাধী । ৩য় পর্ব - Romantic Bangla Uponnash

Oporadhi -  অপরাধী । ৩য় পর্ব - Romantic Bangla Uponnash, Romantic uponnash bangla pdf, Top 10 Bangla uponnash, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash online reading, Bangla uponnash PDF, Premer uponnash pdf, রোমান্টিক বাংলা উপন্যাস,  Bengali uponnash 2023, Bangla uponnash By Humayun Ahmed pdf, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash Humayun Ahmed, Romantic uponnash bangla pdf, Premer uponnash pdf, Bangla shahitto, উপন্যাস বই, উপন্যাস pdf, Bangla novels free online reading 2023

Oporadhi -  অপরাধী । ৩য় পর্ব - Romantic Bangla Uponnash
Oporadhi -  অপরাধী । ৩য় পর্ব - Romantic Bangla Uponnash

Oporadhi -  অপরাধী । ৩য় পর্ব - Romantic Bangla Uponnash, Romantic uponnash bangla pdf, Top 10 Bangla uponnash, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash online reading, Bangla uponnash PDF, Premer uponnash pdf, রোমান্টিক বাংলা উপন্যাস,  Bengali uponnash 2023, Bangla uponnash By Humayun Ahmed pdf, Bangla premer uponnash, Bangla uponnash Humayun Ahmed, Romantic uponnash bangla pdf, Premer uponnash pdf, Bangla shahitto, উপন্যাস বই, উপন্যাস pdf, Bangla novels free online reading 2023


আমার ব্যাগে আমার বডি স্প্রে ছিলো সেটা হুট করে নিচে পড়ে গেলো আমি সেটা ফ্লোর থেকে উঠিয়ে ব্যাগে রাখতে লাগলাম তখনি পিছন থেকে মাথায় কিছু একটা দিয়ে বারি দিলো আর সাথে সাথে আমিও নিচে পড়ে গেলাম আর মাথায় প্রচুর ব্যথা অনুভব করতে লাগলাম আর বেহুস হয়ে গেলাম।


আমি যখন চোখ খুলি তখন দেখলাম তানভিরের মামা ও তার সাথে একটা মহিলা দাড়িয়ে আছে, সম্ভবত তানভিরের মামী হবে উনি,আর  নিজেকে খাটে আবিষ্কার করলাম।


--তুমি ঠিক আছো!(মহিলাটা)


--জী,(আমি)


--আমরা সত্যি আন্তিরিক ভাবে ক্ষমা চাচ্ছি তোমার কাছে, (তানভিরের মামা)


--আরে ক্ষমা চাচ্ছেন কেন!(আমি)


--যা ঘটলো তার জন্য আমরাই দায়ী, আসলে আমাদের দুজনের একটা মেয়ে আছে, গতকাল তানভিরের সাথে তোমার ব্যাপারে কথা হইছিলো কিন্তু আমরা তাকে তোমার আসার কথা বলি নাই,পরে সে যখন সিরি দিয়ে উপরের উঠে তখন তোমার রুমের দিকের থেকে একটা আওয়াজ পায় পরে সে তোমার রুমের দিকে গিয়ে দেখে তুমি কি যেন ব্যাগে ডুকাচ্ছো সে তা দেখেই তোমার চোর মনে করলো আর হাতের কাছে একটা লাঠি পায় তা দিয়ে তোমার মাথায় আঘাত করে!(তানভিরের মামা)


--দেখ বাবা, মনে কিছু নিও না ও না জেনেই এমনটা করে বসে আছে, আমাদের ক্ষমা করে দাও!(তানভিরের মামী)


--আরে এটা তো একটা এক্সিডেন্ট,এর জন্য ক্ষমা চাচ্ছেন কেন!যা হবার হয়ে গেছে, আর তাছাড়াও আপনারা আমার বড়, আপনারা আমার থেকে ক্ষমা চেয়ে আমাকে লজ্জা দিয়েন না, আমি তো বুঝলামই এটা এক্সিডেন্টলি ঘটে গেছে,(আমি)


তখনি রুমের ভিতরে একটা মেয়ে আসে!মেয়েটা কে দেখে আমাদের বয়সি মনে হচ্ছে!


--I'm Extremely Sorry!আমি না জেনেই এমনটা করে ফেলছি, প্লিজ ক্ষমা করে দেন,আসলে আমি জানতামই না আমাদের বাসায় কেউ আসবে, আমি যখন ছাদে যাচ্ছিলাম তখন এই রুম থেকে একটা আওয়াজ পাই,পরে এখানে এসে দেখি আপনি কি জেন ব্যাগে ডুকাচ্ছেন তখনি আপনাকে চোর মনে হলো কারন আমার মনে হলো বাসায় তো কেবল আমি আর আম্মু আব্বুই থাকি,তাহলে বার্তি ছেলেটা কে হবে,তাছাড়াও আপনি ব্যাগে কিছু একটা ডুকাচ্ছিলেন তখনি আপনাকে চোর মনে হলো তাই আমিও সুযোগ বুঝে একটা লাঠি নিয়ে আস্তে করে গিয়ে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করি আর আপনি পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে চোর চোর বলে চিৎকার দিতে থাকি,পরে আম্মু আর আব্বু এসেই দেখে আপনি এখানে পড়ে আছেন,পরে জানতে পারলাম আপনি নাকি আব্বুর কাছে আসছেন, বিশ্বাস করেন আমি যদি জানতাম এই কথা যে আপনি আব্বুর কাছে আসছেন আমি ভুলেও এই কাজটা করতাম না আর কাল রাতে তারাও তো আমাকে বলে নাই যে বাসায় মানুষ আসবে! (মেয়েটা)


--বলতাম কি করে, তুই তো সারাক্ষন হাওয়ার মতো ঘুরে বেড়াস! (মহিলাটা)


--আচ্ছা, বাদ দেন যা হবার হয়ে গেছে, তবে আর যাই বলি না কেন!আপনার হাতে প্রচুর শক্তি আছে, এই শক্তিকে কাজে লাগালেই ভালো হয়,আপনি পারলে কোনো বাহিনীতে কিংবা পুলিশে জয়েন করুন, পরে ক্রিমিনালরা যদি আপনার হাতের এক বারি খায় তারা জায়গাতে সিদা হয়ে যাবে, আমি গ্যারান্টি দিলাম!(আমি)


কথাটা শুনেই আংকেল আর আন্টি হেসে দিলো!আর মেয়েটা তো মুচকি মুচকি হাসতেছে, আমি মাথায় হাত দিয়ে দেখতেছি মাথা ফাটছে কিনা, না ফাটে নাই তবে ও মা রেএ,মাথা ফুলে গেছে তবে ভাগ্যিস বারিটা অতো জোরেও লাগে নাই নাহলে তো জোরায় জোরায় সেলায় করতে হতো!


--আচ্ছা বাবা তোমার নামই তো জানা হলো না! নাম কি তোমার!(আন্টি)


--জী আমার নাম মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান অন্তর, (আমি)


--আজ থেকে ও এখানেই থাকবে, আর অন্তর তুমি চিন্তা করিও না তোমাকে আমার অফিসে একটা চাকরী দিয়ে দিবো!(তানভিরের মামা)


--আর শুনো, আমাকে মামী ডাকবা কেমন!আর কোনো কিছু লাগলে প্রয়োজন হলে আমাকে বলবা!(মামী)


--জী, ধন্যবাদ!তবে মামী আপাদত একটা জিনিস লাগবে! (আমি)


--কি লাগবে বলো!(মামী)


--জি মানে, বরফ লাগবে, আসলে যে বারিটা দিছে না তার জন্য আমার মাথা ফুলে গেছে, সেখানে বরফ দিতে হবে!(আমি)


--ঠিক আছে আমি পাঠাচ্ছি!তুমি রেষ্ট নাও!(মামী)


বলেই সেখান থেকে ৩জনেই চলে গেলো,আমি তাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলাম আর ভাবতে লাগলাম মানুষ কি করে এতো ভালো হয়!আমি আজকেই এখানে আসলাম কিন্তু তারা আমার সাথে যেভাবে আন্তরিকতা দেখাচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে আমি তাদের কতো কাছের মানুষ। সত্যি আমি এই জিনিস গুলো দেখে প্রায় অবাক হয়ে যাচ্ছি, কারন আমার আপন মামা মামীর বিহেবার আমার একদমই পছন্দ না, কারন তাদের ব্যবহার গুলোতে আমি সবসময় অন্য কিছু খুজে পাই,তাই আমি তাদের যাই না,সাইমনই আমাদের বাড়িতে আসে।তবে আমি এই কাল সাপের কথা বলতেছি কেন!আমার সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে আমাকেই সবার কাছে তেতো বানিয়ে দিলো!ভালো আমিও উপর ওয়ালার উপর ভরসা করে রাখছি একদিন সেও তার প্রাপ্য শাস্তি পাবে! আমার কষ্টের সময় সে আমার উপর হাসছিলো,একদিন সেও বুঝবে কারো কষ্টের সময় যখন অন্য কেউ হেসে যায় তখন তার কেমন লাগে, আর মায়া,সেও বুঝবে একদিন যে কি কাজ করছে সে! আজ আমার খারাপ সময় আসছে একদিন তাদেরও আসবে,কারন খারাপ সময় শুধু একজনের জন্যই সিমাবদ্ধ নয়,সকলেরই খারাপ সময় আসে।


কিছুক্ষন পরে সেই মেয়েটা বরফ নিয়ে আসে!


--এই নিন,আসলেই সত্যি আমি অজান্তেই এই কাজটা করে ফেলছি আমাকে ক্ষমা করবেন!(মেয়েটা)


--আরে বললাম না এটা জাষ্ট একটা এক্সিডেন্ট, (আমি)


বলেই আমি বরফ নিলাম আর মাথায় লাগাতে লাগি,ভাইসাব জাষ্ট একটু লাগলেই ব্যাথায় ফেটে যায় কিন্তু মেয়ের সামনে তো আর চিৎকার করতে পারবো না, নাহলে একদিন বাড়ি থাকা অবস্থা সাইকেল থেকে পড়ে জাষ্ট পায়ের চামড়া ছিড়ে গেছিলো,তখন আম্মু আমার সেই ক্ষতস্থানে ডেটল লাগাচ্ছিলো আহারে আমার চিৎকার, আমার চিৎকার পাশের বাসার আন্টি পযন্ত চলে আসছে কি হইছে দেখার জন্য,আর চিৎকার দেওয়ার কারনে আম্মুও আমাকে দিছে মাইর,


কথাটা বলতেই নিমিষেই মন্টা খারাপ হয়ে গেলো আর চোখেও পানি চলে আসলো, কারন আজ যদি আমি আম্মুর কাছে থাকতাম সে নিজে এসেই আমার মাথায় বরফ লাগিয়ে দিতো,কিন্তু আজ আমি সকলের থেকে দূরে,  ১ দিন হয়ে গেলো! আম্মু আমার মোবাইলে একটাও কল করে নি,অথচ প্রতি বেলায় সে কল করে করে আমার খোজ খবর নিতো!হয়তো সেও ভেবে নিছে আমি সত্যি অপরাধী,থাক যদি তারা আমাকে ছাড়া সুখে শান্তিতে থাকতে পারে আমিও আর তাদের মাঝে ফিরে তাদের সেই সুখ শান্তি নষ্ট করবো না, আমি চাই আমার আম্মু আব্বু সুখে শান্তিতেই থাকুক।শুধু আমিই না প্রতিটা ছেলে মেয়েই চায় তার বাবা মা সুখে শান্তিতে থাকুক।


--আপনি কি বেশিই ব্যাথা পাইছেন?? (মেয়েটা)


কথাটা বলতেই আমি ঘোর কাটলো!


--জি,কিছু বলছেন??(আমি)


--না মানে আপনি কি সত্যি বেশি ব্যাথা পাইছেন!(মেয়েটা)


--আরে না,এতো ব্যাথা পাই নাই!(আমি)


--তাহলে আপনার চোখে পানি কেন??(মেয়েটা)


--না মানে, এমনেই! (আমি)


--আমি বুঝতে পারছি আপনি অনেক ব্যাথা পাইছেন!(মেয়েটা)


--জি,আমি অনেক ব্যাথা পাইছি, তবে মাথায় না আমার মনের মধ্যে, যা আপনাকে বলাও যাবে না, শুধু আপনাকেই না কেউকেও বলতে পারবো না,(আমি মনে মনে)


--কি হলো চুপ হয়ে গেলেন যে??(মেয়েটা)


--না এমনেই!ধুর বাদ দেন তো!(আমি)


--আচ্ছা ঠিক আছে, by the way আমি রিদিকা। আচ্ছা আপনি আব্বুর কাছে কেন আসছেন জানতে পারি??(মেয়েটা)


--জি আসলে আমার একটা চাকরির খুবই প্রয়োজন, আর সেটা আপনার মামাতো বলি!পরে সে আমাকে আপনার বাবার কাছে পাঠায়!(আমি)


--অহ,আচ্ছা আপনি কতোটুকু পড়াশুনা করছেন??(রিদিকা)


--জী,আমি অনার্স ৩য় বৎসে পড়তেছিলাম কিন্তু একটা সমস্যা কারনে পড়া শুনা বাদ দিবো,আসলে ফেমেলি প্রব্লেম তাই!(আমি)


--অহ,আপনার ফেমেলিতে কে কে আছে??(আমি)


--ফেমেলিতে তো আম্মু আব্বু আছেই কিন্তু বর্তমানে আমিই নেই সেই ফেমেলিতে (মনে মনে)


--কি হলো,বললেন না যে আপনার ফেমেলিতে কে কে আছে!(রিদিকা)


--জী,আমার আব্বু আম্মু আছে!(আমি মন খারাপ করে)


আমরা কথা বলতেছিলাম তখনি মামী রুমে আসলো, 


--অন্তর,একটা কথা বলি বাবা তোমাকে!(মামী)


--জী,বলেন!(আমি)


--দেখো একদম সংকোচ বোধ না করে বলো,তোমাকে কি নাস্তা এখানে এনে দিবো নাকি আমাদের সাথে বসে নাস্তা করবে!(মামী)


আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না, একত এটা অন্যের ঘর,আর তাকে কি করে আমি নাস্তার বেপারে কি বলবো ভেবে পাচ্ছি না"


--কি হইছে, চুপ করে আছো কেন!দেখো এভাবে সংকোচ বোধ করার কিছুই নেই,(মামী)


--না মানে লাগবে না, আসলে আমি একা খাই না,(আমি)


--তাহলে তো ভালোই, চলো ডাইনিং টেবিলে!(মামী)


আমি কিছু বুঝতেছিনা কি করবো বা কিভাবে করবো!পরে আমিও উঠে যেতে লাগি তবে আমার থেকে একটু uneasy feel হচ্ছে কারন নতুন জায়গা তাই!তাছাড়াও এটা আমার বাড়ি না!আমি হাটতে লাগলাম তবে পা আগাচ্ছে না,ভিতরে এক প্রকার লজ্জা কাজ করতেছে! 


--কি হইছে! বাবা হাটতেছো না কেন!(মামী)


--না মানে,এমনেই আসতেছি তো!(আমি)


--বুঝছি,তুমি এখনো সংকোচ বোধ করতেছো,আমি তো তোমাকে বললামই সংকোচ বোধ করতে না, এটা তোমার বাড়িই মনে করো!(মামী)


বলেই যেতে লাগে আর আমিও অবাক চোখে তাকিয়ে আছি,মানে কি করে মানুষ এতোটা ভালো হতে পারে!আমি তো তাদের চেনা কেউই নয় তাহলে কেন আমার প্রতি এতো সহ যত্নশীল,মানে মনের মধ্যে তাদের জন্য এক প্রকার অস্থিরতা কাজ করতেছে, কিন্তু প্রকাশ করতে পারতেছি না! পরে আমি গেলাম এরপর টেবিলে বসতেই মামী নিজের হাতে নাস্তা দেয়,এরপর সকলেই নাস্তা করতে লাগে,আমিও আস্তে আস্তে নাস্তা করতে লাগলাম,নাস্তা শেষ করেই আমি আমার রুমে গেলাম আর শুয়ে পড়লাম।আমি সেখানে শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম কোথায় চলে আসলাম আমি,বা কোন জগতে আছি আমি!যেখানে আমার আপন মানুষদেরই খোজ নেই সেখানে ঘন্টা খানিকও হয়নি তাদের সাথে দেখা হলো কিন্তু তারা আমাকে যেভাবে আপ্পায়ন করতেছে মনে হচ্ছে আমি তাদের অনেক চেনা পরিচিত কেউ!আর যেখানে আমার আপন মামা মামী আমার খোজ খবর তো নেয়ই না,আবার দেখা হলে আমাকে একপ্রকার ইন্সাল্ট করে কথা বলতো আর সেখানে অন্য আর একজনের পরিবারের কেউ আমার এতো যত্ন নিচ্ছে।


তখন মামী আমার রুমে আসে,! 


--অন্তর, কি করতেছো বাবা!(মামী)


--জি, কিছু না, এমনেই শুয়ে আছি!(আমি)


--মাথায় এখনো কি ব্যাথা আছে নাকি???(মামী)


--না তেমন ব্যাথা নেই,হাল্কা একটু আছে! (আমি)


--অহ,এই নাও ওষুধটা খেয়ে নাও,ব্যাথা চলে যাবে (মামী)


বলেই আমাকে ওষুধ বের করে দেয়, আর সেটা দিয়েই মামী চলে গেলো,আমি মামীর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাবতে লাগলাম,তারা কতোটা ভালো,তাদের ঘরের অথিতিকে তারা কতো ভালো ভাবেই না অ্যাপ্পায়ন করতেছে, তারা আমাকে নিজের কেউ ভাবতেছে,আর আমার আপন মামা মামী আমাকে অনেক ভাবেই অপমান করছে তবে আম্মুর ভাই বলে আজ পর্যন্ত আম্মুকে মামা মামীর কথা সেই কথা গুলো বলি নাই,আর আমার মামাতো ভাই সাইমনকে নিজের ভাই হিসেবে মর্যাদা দিলাম,মনে করছিলাম সে অন্তত ভালো হবে কিন্তু না সে তো আরো, তানভির কতোটা ভাগ্যবান এমন মামা মামী পেয়ে যাদের মন অনেক বড়।


তখনি আমার মোবাইলে কল চলে আসে দেখলাম সালা শয়তানকে ভাবলাম সেই কল দিলো!আমিও রিসিব করে নিলাম!


--সালা,শয়তানকে ভাবলাম আর সেই কল দিলো!(আমি)


--সালা কি বললি তুই!আচ্ছা বাদ দে কি করিস, নাস্তা করছিস!(তানভির)


--হ্যারে ভাই করছি,তবে দোস্ত তুই সত্যি অনেক ভাগ্যবান এমন মামা মামী পেয়ে, তারা আমাকে কতোই না আপ্পায়ন করতেছে তা বলে বুঝাতে পারবো না,সত্যি তুই খুব লাকি রে ভাই!(আমি)


--হা হা হা মামা মামী অনেক ফ্রেন্ডলি বিহেব করে বেটা,কয়েক দিন থাক বুঝতে পারবি!তো এখন কি করিস!(তানভির)


--এই তো দোস্ত শুয়ে আছি, আর কিছু জিনিস ভাবতেছি!(আমি)


--কি ভাবতেছিস তুই!(তানভির)


--আমি এখন পর্যন্ত আমার সিম অন রাখলাম আম্মুর জন্য, মনে করছিলাম সে একবার হলেও কল করে জিজ্ঞেসা করবে আমি সত্যি কি কাজটা করছি কিনা!আমার বিশ্বাস ছিলো আম্মু অন্তত আমাকে কল করবেই কিন্তু আমি ভুল প্রমানিত হলাম,আমি হয়তো ধরেই নিছে আমি সত্যিই অপরাধী,আমি সত্যিই সেই কাজটা করছি!তাই ডিসিশন নিলাম আমি আমার সিমটাই বন্ধ করে দিবো আর নতুন একটা সিম নিবো,কারন তারা যেহুতু আমাকে তাদের থেকে বাদ করেই দিছে তাদের মন থেকে দূরে সরিয়েই দিছে তাই আমিও আর তাদের মনে আসতে চাই না, না তাদের কাছে ফিরতে চাই!তারা তাদের মতো করেই থাক আমি আমার মতো করেই থাকবো!তাদের সাথে আর কোনো যোগাযোগ করবোই না, তারা যেহুতু আমাকে অপরাধী ভেবেই নিছে, তো ঠিক আছে আমি অপরাধী।তাই আমার সিমটা অফ করে নতুন নাম্বার নিবো!(আমি)


--দোস্ত,এটা করিস না, তারা হয়তো কোনো এক সমস্যায় পড়ে তোর খবর নেই নি,তুই আর যাই হোক তাদের ভুল বুঝিস না!তুই ভুল বুঝতেছিস!(তানভির)


--দোস্ত,ভুল না সঠিক তা ভালো করেই বুঝতে পারতেছি, আমি সিধান্ত নিয়েই নিছি সো আমি আমার সিধান্ত থেকে পিছাবো না,(আমি)


--কিন্তু অন্তর(তানভির)


--কোনো কিন্তু না,আমি আমার সিধান্ত নিছি তো নিছি,আর কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না!এটাই শেষ কল এই সিম থেকে, এরপর এই সিমে আর কল আসবেও না না এই সিম থেকে কল যাবে! আমি এখন বের হবো একটা সিম কিনতে!সিম কিনে তোকে কল দিচ্ছি!রাখি (আমি)


বলেই কল কেটে দিলাম,এরপর আমি আমার মোবাইল খুলে সেই সিমটা খুলে ফেলি যেই নাম্বারটা সকলের কাছে ছিলো,সেটা খুলে আমি একটা কাগজে মড়িয়ে ব্যাগে রেখে দি,এরপর আমি ওয়ালিট নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যাই আর যেতে লাগি তখনি দেখলাম তানভিরের মামা আমার সামনে উপস্থিত!


--কোথায় যাও!(মামা)


--জি,আসলে আমার মোবাইলটা একটু সমস্যা দিতেছে তাই একটু মোবাইল সার্ভিশিং দোকানে যেতে হবে!আচ্ছা এখানে কাছে ধারে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান পাওয়া যাবে??(আমি)


--আরে পাওয়া যাবে মানে,আর একটা কথা তুমি আমার ভাগিনার বন্ধু মানে, আমারও একপ্রকার ভাগিনাই হও,আমাকে আপনি করে না বলে তুমি করে বলিও, আর আমাকে নিজের মনে করিও কেমন,কারন আমার ভাগিনা আমাকে মামা ডাকে!এখন যদি তার বন্ধু আমাকে uncle ডাকতেছে আবার আপনি করে বলতেছে জিনিসটা কেমন জেন দেখায় না, তাই বলি আমাকে নিজের মামাই মনে করিও, আর তাছাড়াও আমার বউকে যদি মামী ভাবতে পারো তাহলে আমাকে মামা ভাবতে অসুবিধা কোথায়!আমার বউকে মামী ডাকা আর আমাকে uncle ডাকা জিনিসটা কেমন যেন দেখায়!আজ থেকে যেন আমি শুধু তোমার মুখ থেকে মামা ডাক শুনি,আর যেভাবে মামা ভাগিনার সম্পর্ক হয় আমাদেরই একই রকম সম্পর্ক হবে, বুঝছো!আর চলো আমিই নিয়ে যাচ্ছি তোমাকে মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে!(মামা)


আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি,কি সুন্দর করে আমাকে কথাটা বলল তিনি,আমি এই ফেমেলিতে এসে বারবার অবাক হচ্ছি!আমি তার দিকে হা করে তাকিয়ে আছি!


--ঐ হা করে দেখিস,চল মামাকে জীবনেও দেখোস নাই নাকি!আমি গাড়ি বের করতেছি তুই আয়!(মামা)


বলেই মামা যেতে লাগে আমি কি বলবো বা কি করবো,আমি মিয়া পূরাই বেক্কেল হয়ে গেলাম।আমিও বাহিরের দিকে গেলাম দেখলাম মামা গাড়ি নিয়ে আসছে, আর আমাকে ভিতরে যেতে বলতেছে আমিও গাড়ির ভিতরে গেলাম আর মামাও গাড়ি চালাতে লাগলো,গাড়ি চালাতে চালাতে একটা মার্কেটের সামনে চলে যায়, মামাও গাড়ি সাইড করে দাঁড়ায় আর আমিও গাড়ি থেকে বের হয়ে যাই এরপর মামার সাথে মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকানে যাই,আসলে আমার মোবাইলে একটা সমস্যা ছিলো আমার মোবাইলে চার্জিং পয়েন্টে একটু সমস্যা সে ঠিক করে নিলাম তার পাশা পাশি একটা সিম কার্ডও কিনে নিলাম।


--কিরে সিম কার্ড নিলি যে??(মামা)


--আসলে মামা আমার একটা সিম কার্ড লাগতেছে, আসলে মামা আমার কাছে কেবল একটাই সিম!অনেক সময় বাহিরে যাইতো সেখানে একটা সিমে যদি ডাটা নিয়ে রাখি হুট করেই সেই ডাটা শেষ হয়ে গেলে সেই সিমে টাকা থাকতে তো বেহেস্তে, তাই আরো একটা সিম নিলাম!(আমি)


--আচ্ছা নে,(মামা)


এরপর মামার সাথে বাসায় চলে গেলাম, তারপর দুপুরে দুপুরের খাবার খেয়ে নিলাম,মানে তাদের সাথে  কথা বলে সেই সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে দিলাম,


রাতের বেলা

 মোবাইলে সিম লাগিয়ে তানভিরকে কল দিলাম।


--দোস্ত,আমি এই সিম নিছি,এটাই এখন থেকে খোলা থাকবে!কিন্তু একটা কথা!(আমি)


--কি কথা দোস্ত!(তানভির)


--তোকে কসম দিলাম, আমার এই নাম্বারটা যে তোর কাছে আছে সেটা কেউকেই বলবি না, আর আমার সাথে যে যোগাযোগ হয় সেটাও জাতে কেউ জানতে না পারে!আচ্ছা আমি রাখি পরে কথা বলবো, কিছু কাজ আছে সেটা করতে হবে!(আমি)


বলেই কল কেটে দিলাম, এরপর সেই সিমে আমি আমার imo ও whats up খুলে নিলাম,কারন দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোনে এই app গুলো থাকা প্রয়োজন,এরপর আমার fb আইডির নাম্বার চেঞ্জ করে দিলাম যেন আমার সেই নাম্বার সার্চ করে আমার Id যাতে না পায়!কারন আমি চাই না তাদের সাথে আমার আর কোনো ভাবেই যোগাযোগ হোক।


চলবে..............

ভুলক্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।আর লাইক ও গল্প ভিত্তিক কমেন্ট করে পাশে থাকুন।নাইস নেক্সট বলা থেকে বিরত থাকুন।বিনা অনুমতিতে কপি করা নিষেধ।সেয়ার করুন আর পরর্বতি পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

বিদ্রঃ গতকাল এলাকার বাহিরে ছিলাম,তাই গল্প দিতে পারি নাই আর আজকে একটু ব্যস্থ ছিলাম তাই লেট করে দেওয়ার জন্য সরি।



৪র্থ পর্ব পড়তে ক্লিক করুনঃ


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url