ধর্ষিতা বউ - ০১ পর্ব । Uponnash, Love Story - Moner Rong

ধর্ষিতা বউ - ০১ পর্ব । Bangla Uponnash, Love Story - Moner Rong রোমান্টিক ভালবাসার গল্প Choto Golpo Book ছোট গল্প premer uponnash choto golpo pdf free download status

ধর্ষিতা বউ


ধর্ষিতা বউ - ০১ পর্ব



সকালে শোয়া থেকে উঠতে পারছিলো না প্রাপ্তি । ব্যথার পুরোটা শরীর মনে হচ্ছে যেনো মরার মতো হয়ে আছে । তারপরেও কষ্ট করে উঠে গোসল করে ফ্রেশ হয়ে নিলো! তারপর নিচে গিয়ে নাস্তা বানালো । সকাল ৭ টা বাজে।নাস্তা বানানো শেষ করে প্রাপ্তি ড্রইং রুমে সোফায় বসে ছিলো । বসে বসে ভাবছিলো তার অতীত জীবনের কথা, তার বিয়ের আগে তার জীবনটা কতোই না সুন্দর ছিলো । কেনো যে সায়ানের সাথে ওর বিয়ে হলো !! এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে প্রাপ্তির চোখ লেগে গেলো সে টেরই পেলো না । 
-প্রাপ্তি.....প্রাপ্তি.. এই প্রাপ্তি...

হঠাৎ করেই প্রাপ্তির ঘুম ভেঙে গেলো । সায়ান ডাকছে । অস্থির হয়ে দৌড়ে গেলো সায়ানের রুমে ।
-কিরে তোরে এতো ডাকি শুনতে পাস না?? কি করিস সারাদিন তুই?খালি ঘুম ছাড়া আর কোনো কাজ নাই নাকি তোর?

প্রাপ্তি চুপ ।
-আমি শাওয়ারে যাচ্ছি আমার শার্ট প্যান্ট গুলো আয়রন করে রাখ । মিটিং আছে আজকে ।
বলেই সায়ান শাওয়ারে চলে গেলো । প্রাপ্তি সায়ানের কাপড়গুলো আয়রন করে নিচে গেলো । নাস্তা রেডি করে টেবিলে রাখলো । সায়ান শাওয়ার শেষ করে এসেই নাস্তা করে তাড়াতাড়ি অফিসে চলে গেলো !! সারাদিন প্রাপ্তি বাসায় একা থাকে । আর ওর সাথে থাকে ওর একাকিত্ব আর সায়ানের অত্যাচারের নির্বাক চিৎকার । ও চাইলেও কারো কাছে ওর মনের কথাগুলো খুলে বলতে পারে না । সকাল ৯ টায় বাসার দারোয়ান শফিক বাজার করে দিয়ে গেলো । প্রাপ্তি সবগুলো বাজার কেটেকুটে ফ্রিজে ভরে রাখলো আর যেগুলো রান্না করার সেগুলো রান্না করে নিলো । ১২ টায় বুয়া এসে ছুটা কাজগুলো করে দিয়ে গেলো । বুয়া শুধু ঘর ঝাড়ু আর কাপড় ধোয়ার কাজ করে চলে যায় । দুপুরে সব কাজ শেষ করে প্রাপ্তি জোহরের নামাজ সেরে নিলো তারপর খাওয়া দাওয়া করে এসে ড্রইং রুমে সোফায় শুয়ে ছিলো ।
সারাদিন এই ড্রইং রুমেই তাকে থাকতে হয় । এতো বড় বাড়িতে চারটা রুম থাকার পরেও ড্রইং রুমই তার থাকার জায়গা । কারন সবগুলো রুমের মুখোমুখি এই রুম । সায়ানের রুম থেকে ডাক দিলে সহজেই শোনা যায় ড্রইং রুম থেকে । একটু দেরি হলেই গালাগালি শুরু করে সায়ান । তাই প্রাপ্তি এখানেই থাকে সারাক্ষণ ।

দুপুরেই সায়ানের ফেরার কথা।কিন্তু ফিরলো না । বিকালে ৫ টায় সায়ান ফিরে আসলো । ওর সাথে একটা মেয়ে ছিলো ফর্সা করে লম্বা,পাতলা গড়ন,খোলা মাঝারি চুল,একটা হাতা কাটা বেগুনী রঙের ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরা । মেয়েটা সায়ানকে জান বাবু বলে ডাকছিলো । সায়ানও মেয়েটিকে বেবি বলছিলো । খুব খারাপ লাগছিলো তাদের অবস্থা দেখে।সায়ান ড্রিঙ্ক করে এসেছিলো । সায়ান মেয়েটির কাধের উপরে হাত দিয়ে ভর করে ছিলো । মেয়েটি সায়ানকে রুমে নিয়ে যাচ্ছিলো,যে রুমে কিনা আমার অধিকার । তাও কিচ্ছু বললাম না । যাওয়ার সময় সায়ান বলে গেলো, ও আজকে বাসায় থাকবে তাই রাতে খাবার ব্যবস্থা কর ।
প্রাপ্তি ফ্রিজ থেকে মাছ মাংস বের করে রান্নাবান্না করে নিলো । রান্না করতে করতে ভাবছে-হয়তো গরীব হয়ে জন্মানোটা আমাদের জন্য পাপ । তাই তার প্রায়শ্চিত্ত এইভাবে করতে হচ্ছে ।
রাতে খাবার টেবিলে মেয়েটি সায়ানকে জিজ্ঞেস করছিলো আমি কে ।
সায়ান উত্তর দিলো
-আরে আমাদের বাসার কাজের লোক । মা যাওয়াদ সময় রেখে গেছে আমাকে দেখাশুনো করার জন্য ।(কথাটা প্রাপ্তির বুকে গিয়ে বিধলো,মুহুর্তেই ওর চোখে পানি এসে পড়লো)
-My Goodness Shayan...এতো সুন্দর একটা মেয়ে ঘরে থাকলে তুমি ঠিক থাকতে পারো?
- Come on Riya babe...তুমি আছো না আমার লাইফে । আর যত সুন্দরী মেয়েই থাকুক না কেনো তুমি থাকলে আর কিছু লাগেনা । Love you babe..
কথাগুলো প্রাপ্তির কাছে খু যন্ত্রণাদায়ক মনে হচ্ছিলো । নিতে পারছিলোনা সে তাই ওখানে থেকে ড্রইং রুমে গিয়ে বসলো ।
সায়ান আর রিয়ার খাওয়া শেষে তারা রুমে চলে গেলো ! প্রাপ্তি এসে খাওয়া দাওয়া করে সব গুছিয়ে রাখলো !
রাতে সায়ানের রুমের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাপ্তি রুমের ভেতর থেকে রিয়ার শব্দ শুনতে পেলো !প্রাপ্তির আর বুঝতে বাকী রইলো না তারা যৌনমিলনে লিপ্ত ছিলো ।
দূ'ফোটা চোখের জল ফেলে ড্রইং রুমে এসে প্রাপ্তি শুয়ে পড়লো !

সকালে উঠে নাস্তা বানালো । সায়ান আর রিয়া নাস্তা করে একসাথে বেরিয়ে গেলো!যাওয়ার সময় সায়ান বলে গেলো
-আমার আজকে ফিরতে দেরি হবে । তুই দেখিস বাইরে কোথাও যাস নে আবার । আর কারো সাথে ফোন এ কথা বলবি না ।
বলেই চলে গেলো !
সারাদিনের কাজকর্ম শেষ করে প্রাপ্তি সোফায় বসে টিভি দেখছিলো । হঠাৎ করেই তার অতীতের কথা মনে পড়লো ।
সায়ানের সাথে প্রাপ্তির বিয়ে হলো আজ ৫ মাস । এই ৫ মাসে কতকিছুই না হলো এখনো হচ্ছে ! প্রাপ্তি ইন্টারের পরীক্ষা শেষ করা মাত্রই তার দাদী বলল সায়ানের সাথে প্রাপ্তিকে বিয়ে দিবে । সায়ান প্রাপ্তির ফুফাতো ভাই । সায়ানের মা সালেহা খাতুনের প্রস্তাবেই প্রাপ্তির দাদি প্রাপ্তির বাবাকে বিয়ের কথা বললেন । বোনের এমন একটা চাওয়াতে প্রাপ্তির বাবা আসিফ সাহেব না বলতে পারেন নি ! তাই পারিবারিক ভাবেই ধুম ধাম করেই সায়ান আর প্রাপ্তির বিয়েটা হলো ।
সায়ান গ্র‍্যাজুয়েশন শেষ করে এখন নিজেদের ব্যবসা সামলায়, আর প্রাপ্তি তো ইন্টার শেষ করলো । স্বপ্ন ছিলো উকিল হবে । কিন্তু এমন কিছুর তার জীবনে ঘটে গেলো যে তার আর উকিল হয়ে ওঠা হলোনা ।
 বিয়ের দিন রাতে মানে বাসর ঘরে সায়ান প্রাপ্তিকে খুব শাসাচ্ছিলো
-মায়ের ইচ্ছাতেই আমাদের বিয়েটা হয়েছে । আমি তোকে মন থেকে বউ হিসেবে মেনে নিতে পারবোনা,কখনোই না । কথাটা মাথায় ঢুকিয়ে নিস।আর আমার রুমে আমার অনুমোতি ছাড়া কখনোই আসবি না । আমি যখন ডাকবো তখন আসবি । তার আগে না ।

প্রাপ্তি এগুলোকে কিছুতেই মেনে নিতে পারলোনা । ভেতরে ভেতরে সে গুমড়ে গুমড়ে কাঁদছে । সবশেষে রাতের খাওয়া দাওয়া করার পরে প্রাপ্তি রুমেই ছিলো । ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল ঠিক করছিলো । পাশেই বিছানা ছিলো ।পরক্ষনেই সায়ান এসে এক ধাক্কা দিয়ে প্রাপ্তিকে বিছানার উপরে ফেলে দিলো ! তারপর প্রাপ্তির উপরে স্বামীর অধিকার খাটালো । বৈধ ধর্ষণ যাকে বলে নিজের বিয়ে করা বউকে বৈধভাবে ধর্ষণ করছে সায়ান । তার মনের ক্ষুধা না মেটা পর্যন্ত সে প্রাপ্তিকে এইভাবেই ধর্ষণ করে গেলো ! প্রাপ্তি চিৎকার করছিলো কিন্তু সায়ান ওর মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরেছিলো । সায়ানের ক্ষুধা মিটে যাওয়ার পর প্রাপ্তিকে টেনে বিছানা থেকে উঠিয়ে বলল
-যা মেঝেতে গিয়ে ঘুমা । এই বিছানা আমার একান্তই আমা র। আর কারো না।
প্রাপ্তির ইচ্ছা করছিলো ওখানেই সায়ানের গালে একটা চড় লাগিয়ে দেয় । কিন্তু সে কিছু না বলে মেঝেতে বিছানা করে সুইয়ে পড়ল ।


সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে প্রাপ্তি রান্না ঘরে গেলো দেখলো তার ফুফু নাস্তা বানাচ্ছে । প্রাপ্তি বলল,
-ফুফু কোনো কাজ থাকলে বলেন আমি করে দিচ্ছি ।
-কিরে এখনো আমাকে ফুফু বলেই ডাকবি? এখন তো আমি তো মা ।
-এতোদিন ফুফু বলে এসেছি এখনন হঠাৎ করে মা ডাকতে পারবো??
-অন্য কোথাও বিয়ে হলে তো ডাকতে হতো আমাকেই ডাকলি না হয় মা বলে ।
-আচ্ছা ঠিক আছে ।
দুইজনে মিলে নাস্তা বানালো !
সায়ান ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে নিলো । বাইরে যাওয়ার যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বের হচ্ছিলো । তখন তার মা বলল
-কালকেই বিয়ে করলি,আর আজকে সকালেই তোর বাইরে যেতে হবে? কয়দিন না গেলে কি হয়?
-ফালতু বকো না তো মা । ঘরে বসে থেকে কি করবো এখন ।
-কি করবি মানে? বিয়ে করেছিস,ঘরে বউ রেখে এখন কি কাজে বাইরে যাবি তুই?
-ওও তার মানে আমি ঘরে বসে বসে তোমার ভাইঝি কে দেখবো এখন??
-ও এখন তোর বউ সায়ান । কথাটা মাথায় রাখিস ।
-মা আমি তোমার কথায় ওকে বিয়ে করেছি । নাহলে ওর মতো মেয়ের দিকে সায়ান চোখ তুলেও তাকায় না ।
-চুপ কর সায়ান । এসব কি কথা বলছিস তুই??
-আমাকে এসব কথা বলে আমার মাথা খারাপ করো না মা ।আ মি যাচ্ছি ।
প্রাপ্তির কিছুই বলার ছিলোনা ও চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখে গেলো । দুপুরের রান্নার সময় সালেহা খাতুন প্রাপ্তিকে বলল,
-কিরে মা তোর মন খারাপ?
-না তো মা কিছু না ।
-আমি বুঝতে পারছি তোর মনটা খুব খারাপ । একমাত্র তুই-ই পারিস সায়ানকে ঠিক করতে,মেয়েদের নেশা,মদ সিগারেটের নেশা কাটাতে ।য দিও ও কখনো আমাকে বুঝতে দেয়না যে ও মেয়েদের সাথে মেলামেশা করে ।
-আমি কিভাবে করবো মা?
-একটা ছেলের সবচেয়ে বড় দূর্বলতা হচ্ছে এক্তা সুন্দরী মেয়ে । তুই তো কোনো দিক থেকে কম না রে মা । আল্লাহ্‌ সবদিক দিয়ে তোকে সুন্দর করে বানিয়েছেন । তাই চাইলেই তুই পারবি ওকে তোর আয়ত্বে এনে ওর জীবনটা সুন্দর শৃঙ্খল করে তুলতে । আমরা আর কয়টা দিনই আছি এখানে।সায়েরার (সায়ানের ছোট বোন) কাছে চলে যাবো আমরা কয়দিন পরে।
-আচ্ছা মা আমি চেষ্টা করবো আমার পুরোটা দিয়েই ।
সারাদিন কথাগুলো প্রাপ্তির মাথায় ঘুরপাক খেয়ে গেলো । কিভাবে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলো না প্রাপ্তি ।
যা-ই হোক এইভাবেই তাদের দিনকাল চলতে থাকলো । বাবা মা যতদিন ছিলেন ততদিন প্রাপ্তি সায়ানের রুমেই ঘুমাতো কিন্তু মেঝেতে । শুধুমাত্র সায়ানের মনে ক্ষুধা মেটানোর সময়টাতে প্রাপ্তির জায়গা হতো বেডে । প্রতিদিন সায়ান কোনো না কোনো মেয়ের সাথে ফোন এ কথা বলে,জান,বাবু এসব বলে সম্বোধন করে । প্রাপ্তি নীরবে শোনে আর চোখের জল ফেলে ।
কিছুদিন পরে সায়ানের বাবা মা চলে গেলো ।
বাবা মা চলে যাওয়ার পর থেকে সায়ান প্রতিদিন কোনো না কোনো মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসে,সারাদিন সিগারেট, মদ আর মেয়ের নেশায় পরে থাকে সে । তার ঘরে যে একটা বউ আছে তার দিকে সায়ানের কোনো খেয়ালই নেই । খাবার সময় আর রাতের ক্ষুধা নিবারনের সময় শুধু প্রাপ্তি সায়ানের সঙ্গী ।সারাদিন বাসায় বসে থাকে আর এগুলোই করে ।
একদিন প্রাপ্তি রান্না করছিলো সকালে । সবে কড়াইয়ে তেল দিলো প্রায় গরম হয়ে আসছে । এমন সময় সায়ান ডাক দিলো । তাড়াতাড়ি যেতে হবে নাহলে আবার গালাগালি শুরু করবে । তাই তাড়াহুড়ো করে কড়াই নামাতে গিয়ে হাতের উপরে পড়ে গেলো সবগুলা তেল । মুহুর্তে মনে হচ্ছিলো যেনো ওর প্রানটা বের হয়ে গেলো !
-কিরে প্রাপ্তি তোর কত সময় লাগে । জলদি আয় ।
কোনমতে হাত ওড়নার আচলে লুকিয়ে গেলো সায়ানের রুমে ।
-ছোট লোকের বাচ্চা এতো সময় লাগে তোর এখানে আসতে !! কি করিস সারাদিন!!আমার কাপড়গুলো আয়রন করে রাখ । আমি শাওয়ারে যাচ্ছি ।
অনেক কষ্ট করে প্রাপ্তি সায়ানের কাপড়গুলো আয়রন করে নিলো ।
তারপর নিচে গিয়ে নাস্তা রেডি করে নিলো !! হাতটা মনে হচ্ছে যেনো জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে । সায়ান যখন নাস্তার টেবিলে আসলো তখন প্রাপ্তি জিজ্ঞেস করলো
-বাসায় কোনো মলম আছে?
-কি করবি মলম দিয়?
-হাত পুড়ে গেছে লাগাবো !
-First Aid box এ আছে দেখে নিস ।
নাস্তা করে সায়ান চলে গেলো । প্রাপ্তি অনেক খুজলো কিন্তু কোথাও First Aid Box খুজে পেলো না ।এদিকে ব্যথা যন্ত্রণায় হাত পুড়ে যাচ্ছে । কোনো উপায় না দেখে প্রাপ্তি পোড়া জায়গায় টুথপেস্ট লাগিয়ে দিলো কিছু ।  অনেক কষ্ট করে রান্না বান্না করে নিলো দুপুরে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়লো ড্রইং রুমের সোফায় । শরীরটা মনে হচ্ছে যেনো আগুনের মতো পুড়ে যাচ্ছে । জ্বর এসে পড়েছে । চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে । বিকালে ঘুম ভাংলো । উঠে দেখে হাতের পোড়া জায়গাটা ফোস্কা পড়ে গেছে । ভেতরে পানি জমে গেছে । উফফ কি যে ব্যথা হচ্ছে।ফ্রিজ থেকে বরফ বের করে কিছুক্ষন লাগালো । যতক্ষন লাগালো ততক্ষন শান্তি লাগে । সন্ধ্যায় সায়ান বাসায় ফিরে এলো  এসেই রুমে চলে গেলো । রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সায়ান প্রাপ্তিকে বলল রুমে যাওয়ার জন্য । প্রাপ্তি বলল,
-আমার শরীরটা ভালো লাগছে না । আজকে..
-চুপচাপ যা বলেছি তা করবি । মুখে মুখে কথা বলবিনা ।
রাতে সব কাজ শেষ করে প্রাপ্তি কাঁপতে কাঁপতে রুমে গেলো । জ্বরে পুরো শরীর পুড়ে যাচ্ছে । হাতের ব্যথায় ইচ্ছা করছে মরে যেতে ।
এই অবস্থায় সায়ান প্রাপ্তির উপরে যৌন নির্যাতন চালালো । প্রাপ্তির শরীরে বিন্দু পরিমান শক্তি নেই । সায়ান যখন প্রাপ্তির হাত চেপে ধরেছিলো তখন প্রাপ্তির হাতের ঠোসা ফুটে গেলো । চামড়া উঠে যাওয়ায় হাতের যন্ত্রনা আরো তীব্রতর হয়ে গেলো । ও চেয়েও চিৎকার করে কাঁদতে পারছেনা । সায়ান এতোটাই নিষ্ঠুর যে এই অবস্থা দেখেও প্রাপ্তিকে ছাড়ে নি ।

পরদিন সকালে কোনোমতে প্রাপ্তি উঠে গোসল করে নিলো ।গোসল করে ড্রইং রুমে এসে শুয়ে ছিলো ।একদম ভালো লাগছিলো না । নাস্তা বানায় নি সায়ান উঠেই চিল্লাচিল্লি শুরু করলো-এখন আমি না খেয়ে বাইরে যাবো !! তোকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা । সারাদিন ঘুম আর ঘুম । এছাড়া আর কোনো কাজ নেই ।
তারপর বাইরে চলে গেলো । তারপর এক ঘন্টা পরে ফিরে আসলো মদ আর সিগারেট নিয়ে ।এসেই রুমে চলে গেলো ।
শফিক বাজার করে দিয়ে গেলো ।
প্রাপ্তি সেগুলো কোনোরকম কেটেকুটে রান্না করে আবার শুয়ে রইলো ।শরীরটা এতোটাই খারাপ লাগছিলো যে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলো না । রাতে খাবার টেবিলে সায়ানের চোখ পড়লো প্রাপ্তির হাতের উপরে । বলল,
-হাতে কিছু লাগাস নি??
-টুথপেস্ট লাগিয়েছিলাম ।
-তোকে না বলেছি First Aid Box এ মলম আছে??
-খুজে পাইনি ।
-তো বলিস নি কেনো আমাকে?
প্রাপ্তি আর কিছু বলে না চুপ করে থাকে । ও বুঝে উঠতে পারছিলো না হঠাৎ করে সায়ান এমন ভালোভাবে কথা বলছে কেনো !!!
রাতে কলিং বেল এর শব্দ শুনে প্রাপ্তি দরজা খুলল । দেখে শফিক।শফিক তার হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বলল -সায়ান সাহেব কইলো এইটা আপনারে দিতে ।
প্রাপ্তি বুঝতে পেরে একটা মুচকী হাসি দিয়ে গেট লাগিয়ে দিলো !

পড়ুনঃ ধর্ষিতা বউ - ০২ পর্ব

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url